কখনোই বয়স দিয়ে ভাগ করা ঠিক নয়। কাজের গুরুত্ব ও অভিজ্ঞতা বুঝেই শিক্ষানবিশ, অভিজ্ঞ, নির্বাহী, ব্যবস্থাপক বা প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা নির্ধারিত হয়। কেউ যেমন ২৯ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হতে পারেন, কেউ আবার ৫৫ বছর বয়সেও থাকতে পারেন ছোট কোনো পদে। আপনার দলে বয়স কম কিন্তু অভিজ্ঞ যে কেউ যুক্ত হতে পারেন, তাঁকে ‘কী বুঝবে’ বলে খাটো করবেন না। আবার মধ্যবয়সের নতুন কোন সহকর্মী আপনার দলে কাজ করতে এলে তাঁকেও বয়স্ক বলে আলাদা করবেন না।
পুরোনো সহকর্মীর প্রতি সহমর্মী হোন
এখন কর্মক্ষেত্রে তরুণ কিংবা মধ্যবয়সী নানা বয়সের মানুষের দেখা মেলে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা কর্মক্ষেত্রে আছেন, তাঁরা হয়তো প্রযুক্তি ব্যবহার কিংবা আধুনিক অনেক নিয়মে অভ্যস্ত নন। তাঁদের পরিহাস না করে সহমর্মী হোন। কোনো সহায়তা লাগলে সহায়তা করুন, এ ক্ষেত্রে নিজের কাজে যেন সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পুরোনো সহকর্মীদের কাছ থেকে আপনি কাজের নানা কৌশল শিখতে পারেন। দেখবেন বয়সে বড় অনেকেই নোটবুক বা ডায়েরির মাধ্যমে লেখালেখির কাজ করেন, তাঁদের অনেক কিছুই আপনার কাছে সেকালের মনে হতে পারে। ডায়েরিতে নোট নেওয়ার বিষয়টি কিন্তু হালের করপোরেট প্রতিষ্ঠানে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুরোনো আমলের অফিসের নিয়মকানুন জানার মাধ্যমে কিন্তু আপনার নিজের অভিজ্ঞতাই বাড়াতে পারবেন।
নতুন সহকর্মীকে বুঝুন
কর্মক্ষেত্রে দলগত কাজের জন্য নতুন কর্মী আসবেন, আবার কর্মের খাতিরে বদলি বা অন্য জায়গায় চলে যাবেন। নতুন সহকর্মীর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগ্রহ থাকতে হবে প্রথম থেকেই।