ডলার–সংকটে ধারাবাহিকভাবে কমছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ দেখাতে চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আর রিজার্ভ কমে যাওয়া ও ব্যবহার নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। সংকটের কারণে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে সামনে তা আরও কমবে।
এমন পরিস্থিতিতে আমদানি কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে গত সেপ্টেম্বরে আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। সেপ্টেম্বরে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৬১৭ কোটি ডলারের। গত ফেব্রুয়ারিতে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৭১০ কোটি ডলারের। নানা বিধিনিষেধের কারণে আমদানি ঋণপত্র খোলা কমলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৪৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয়েছিল ৭৬২ কোটি ডলার। বিক্রীত ডলারের ৯০ শতাংশ খরচ হয় জ্বালানি ও সার আমদানিতে। এর ফলে বর্তমানে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলারে। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের অর্থ ডলারের পাশাপাশি বিদেশে বিভিন্ন বন্ড, মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ করে রেখেছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ রাখা হয়েছে ডলারে। আবার রিজার্ভের অর্থে দেশেও তহবিল গঠন করা হয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ)। এ ছাড়া রিজার্ভের অর্থে গঠন করা হয়েছে লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ), গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)।