রিজার্ভ কমার দায় ও দুর্ভিক্ষের আগাম ঘোষণা

প্রথম আলো ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪০

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘...বিদেশি অর্থায়নে অনেক ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়। সে কারণে আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে, সম্পূর্ণ আমাদের টাকা দিয়ে, অর্থাৎ বাংলাদেশের যে রিজার্ভ, সেই রিজার্ভের টাকা দিয়ে একটা ফান্ড তৈরি করেছি। ....সেই ফান্ড থেকেই আমরা এই বন্দরের ড্রেজিং কাজটা শুরু করেছি।’


জাইকার প্রতিবেদনমতে, হিমালয়ান মিহি পলিবাহিত বৃহৎ নদীগুলোর মোহনার মাত্র সাড়ে ১০ মিটার গভীর চ্যানেলে নিয়মিত ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর অসম্ভব। অর্থাৎ পায়রা বন্দরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ঋণ প্রদানের সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই যৌক্তিক বলা যাবে না। পায়রা বন্দর নিজেই অকার্যকর থেকে যাবে বলে সরকারও ভুল জায়গায় গভীর সমুদ্রবন্দরের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। তদুপরি এই বন্দর ডলারে আয় করবে না বলে এখানে রিজার্ভ ঋণ পরিকল্পনা সঠিক ছিল না। ডলারে আয় করবে না, এমন প্রকল্পে রিজার্ভ ঋণে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও আপত্তি ছিল।


শুধু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে নয়; বরং সরকার রপ্তানি সহায়তা ফান্ড হিসেবেও ঋণ দিয়েছে সরকার। বহু ব্যবসায়ী ঋণপত্র বা এলসির আমদানির ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করে বলে সরকারকে অনেকেই সতর্কও করেছিল, কেননা সব ব্যবসায়ী সৎ নন। উপরন্তু আছে আমলাতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও পাচার। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের স্বল্পমেয়াদি রিজার্ভ ঋণ কেন ফেরত আসছে না, এর উত্তর নেই। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম আশঙ্কা করছেন, উল্লেখযোগ্য অংশ পাচার হয়েছে। অর্থাৎ রিজার্ভ থেকে বাছবিচারহীন অবকাঠামো (আইডিএফ) ও রপ্তানি (ইডিএফ) সহায়তা ঋণ দিয়ে দেশের রিজার্ভকে সংকটাপন্ন করার ঝুঁকি নেওয়া হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us