বাংলাদেশের নাগরিকের আয়কর ভীতি কাটছে না! কারণ বলতে গেলে অনেক। এক কথায় উত্তর দেওয়া ভার। অনেক অভিযোগ সংযোজন-বিয়োজন করলে দেখা যায় সচেতনতার অভাবই ভীতির মূল কারণ। অনেকে আমার সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন। একমত না হওয়ার পেছনে যেমন যুক্তি আছে, তেমনি আমার মতেরও ব্যাখ্যা আছে। দুই পক্ষের মধ্যে একটি যৌক্তিক তর্ক তুলে ধরা যাক। এক পক্ষ পাঠক/করদাতা, অন্যপক্ষ আমি লেখক।
প্রথম পক্ষ করদাতার যুক্তি হলো– আয়কর অফিসে গেলেই মক্কেল এসেছে ভেবে অনেক আইন-কানুনের ভয় দেখানো হয়। স্যার নেই, কাল আসেন, আপনার রিটার্ন ভুল আছে, সঠিক হয়নি, আপনার আয় এত কম দেখিয়েছেন, স্যারের কাছে গেলে ধরবে, আপনার ইটিআইএন খুলেছেন অনেক আগে, রিটার্ন জমা দেন নাই– অনেক টাকা জরিমানা হবে এই কথাগুলো কমন। যেন রাজনীতির মাঠের কিছু মুখস্ত বুলির মতো। এগুলো না বললে কর অফিসের লোকজনের পেটের ভাত হজম হয় না। পিয়ন থেকে সুপারভাইজার বা দুই একজন ডিসিটি পর্যায়ের কর্মকর্তা এই আচরণ করেন। এছাড়া কোনোরকম রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকার নিয়ে আসলেও ভয় কাটছে না। কিছুদিন পর পর ফোন করে দেখা করতে বলা, কখনও কখনও চিঠি দিয়ে বিশাল জরিমানার ভয় দেখানো ইত্যাদি অভিযোগ আছে কর-কর্তাদের বিরুদ্ধে।