সালাম শব্দের অর্থ শান্তি। ইসলামে পারস্পরিক সাক্ষাতের সময় সালাম দিয়ে অভিবাদন জানানোর বিধান রয়েছে। সালামের পুরো বাক্য হলো—আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অর্থ আপনাদের ওপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। এর জবাবে বলা হবে—ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অর্থ আপনাদের ওপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমভাবে অথবা সেটাই জবাবে বলবে। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮৬)
আলেমদের মতে, সালাম দেওয়া সুন্নাত। আর এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। ইমাম নববী (রহ.) বলেছেন, ‘একদল লোককে সালাম দেওয়া হলে এর উত্তরে একজন উত্তর দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আর শুধু একজনকে সালাম দেওয়া হলে শুধু তার জন্য জবাব দেওয়া আবশ্যক। (আল-মাজমুউ : ৪/৫৯৩)
হাদিসে সালামের জবাব দেওয়াকে একজন মুসলিমের অন্যতম অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘একজন মুসলিমের ওপর অন্য মুসলিমের অধিকার পাঁচটি। তা হলো—সালাম দিলে জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, জানাজায় উপস্থিত হওয়া, দাওয়াত দিলে যাওয়া এবং হাঁচি দিলে উত্তর দেওয়া। ’ (বুখারি, হাদিস : ১২৪০)