রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে শক্ত অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। এ ছাড়া রয়েছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র্যাবের সদস্য ও বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি।
রংপুরে মধ্যরাত থেকেই দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যেতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
কেউ হেঁটে, কেউ বা ছোট ছোট যানবাহনে করে সমাবেশে যোগ দিতে রংপুরে আসছেন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখ মাহিগঞ্জ সাতমাথা, মেডিক্যাল মোড়, টার্মিনাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান সড়কগুলোতে খণ্ড খণ্ড মিছিলের চাপ বাড়ে, বাড়ে স্লোগানের প্রতিধ্বনিও।
এদিকে, সড়কপথে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদ ও তিন চাকার যানবাহনসহ মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলেছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে কোনো অস্থিতিকর পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সে জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল আলী মাহমুদ জানান, যেকোনো পরিবেশ মোকাবেলায় সচেষ্ট থাকবে পুলিশ। বিশৃঙ্খলাকারীদের জন্য কোনো ছাড় নেই। বিএনপি স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে তাদের মহাসমাবেশ পরিচালনা করবে, এ জন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।