ডেঙ্গু পরিস্থিতি : নিয়ন্ত্রণে না এলে পরিস্থিতি ১০ গুণ খারাপ হতে পারে

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৫৬

সারা দেশে ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। রোগী বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যু। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন মারা গেছে ডেঙ্গুতে। এ নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হলো এ রোগে।


এর মধ্যে ঢাকায় মারা গেছে ৭৩ জন। চলতি মাসে এ পর্যন্ত ঢাকায় মারা গেছে ৪৬ জন।  


গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে ডেঙ্গুর সর্বশেষ এই তথ্য জানা যায়। তারা বলছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৪৪০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৌর শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধির কারণ। ডেঙ্গু এখন ঢাকার বাইরে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভয়াবহতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ১০ গুণ খারাপ হতে পারে।


দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। চাপ বাড়ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শুধু চলতি অক্টোবরে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাত হাজার ৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৭ জন।  


নতুন রোগীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি তিন হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি দুই হাজার ২৮০ জন।   ঢাকার বাইরে এক হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬৯, খুলনা বিভাগে ১৮১, রাজশাহী বিভাগে ১৫৫, বরিশালে ১৮১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৫ জন ভর্তি। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে ১৫ জন ও  সিলেটে ১২ জন ভর্তি হয়। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৫ হাজার ২৬২ জন।  


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু বিস্তারের প্রথম কারণ গত ২২ বছরে ঢাকায় রোগটি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা। যেহেতু বাস-ট্রাক, ট্রেন-লঞ্চ ইত্যাদির মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ অনেক বেশি, ফলে ঢাকা থেকে মশা বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে। বলা যায়, স্থানীয়ভাবে এখন সংক্রমণ হচ্ছে।


তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যদি ধরি দুই কোটি মানুষ। এখানে রোগ শনাক্ত, এডিস মশা প্রতিরোধ, রোগীর চিকিত্সা থেকে শুরু করে সব সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে ছোট শহরগুলোতে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বেশি হচ্ছে। আমরা দুই কোটি মানুষ নিয়ে যদি হাবুডুবু খাই, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে যদি সংক্রমণ হতে থাকে তাহলে ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ বা ২০১৯ সালে ডেঙ্গু নিয়ে যে হাবুডুবু খেয়েছি, এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us