রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সামান্য ক্ষতি’ কবিতাটা ছিল আমাদের স্কুলপাঠ্য। এখন এটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যপাঠ্য, প্রাতঃস্মরণীয়, রাতঃস্মরণীয় এবং অষ্টপ্রহর-উচ্চারণীয়। রানি গেছেন সখীসমভিব্যহরে নদীতে স্নান করতে, মাঘ মাসে। স্নানসমাপন শেষে রানির শীত লাগছে, অদূরেই কতগুলো জীর্ণ কুটির; তিনি আদেশ দিলেন ওই কুঁড়েঘরগুলোয় আগুন জ্বালাতে। তিনি তাপ পোহাবেন। সখীরা আদেশ পালন করল। তারা প্রজাদের ঘরে আগুন লাগাল।
‘প্রভাত পাখির আনন্দগান
ভয়ের বিলাপে টুটিল;—
দলে দলে কাক করে কোলাহল,
উত্তর বায়ু হইল প্রবল,—
কুটীর হইতে কুটীরে অনল
উড়িয়া উড়িয়া ছুটিল।’
রাজা ক্ষিপ্ত হলেন। রানি বললেন,
‘গৃহ কহ তারে কী বোধে।
গেছে গুটিকত জীর্ণ কুটীর
কতটুকু ক্ষতি হয়েছে প্রাণীর?