খাবার আমাদের শরীর গঠনের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। এবং অবশ্যই সেগুলো স্বাস্থ্যকর ও সঠিক খাবার হতে হবে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫ ধরনের খাবার সম্পর্কে যেগুলো নারীর প্রজনন ব্যবস্থার উন্নতি করে সন্তান ধারনের ক্ষমতা বাড়ায়-
কার্বোহাইড্রেট
লাল চাল, লাল আটা, ওটস ইত্যাদিতে আপনি পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট পাবেন। এ ধরনের খাবারে আছে সন্তান ধারণে সক্ষমতা বাড়ানোর মতো পুষ্টি উপাদান যেমন জিংক, সেলেনিয়াম ও প্রচুর ভিটামিন বি। হরমোনের ভারসামন্য ও প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এ ধরনের খাবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা ময়দা বা সাদা চিনি যা মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়; এ ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার পুরোপুরি বাদ দেওয়া বা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডিম
বিভিন্ন ভিটামিনের অনেক বড় উৎস হলো ডিম। এটি প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে। ডিমে আরও রয়েছে ওমেগা ৩ ও কোলিন। এটি প্রথমত সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়ায়, দ্বিতীয়ত অনাগত শিশুর জন্মগত কিছু ত্রুটি দূর করতে কাজ করে। তাই সুস্থ প্রজনন ক্ষমতার জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
তেলযুক্ত মাছ
মাছে থাকে স্বাস্থ্যকর তেল বা চর্বি যা ওমেগা ৩ বা ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড নামে পরিচিত। প্রজনন ব্যবস্থার উন্নতি ছাড়াও এটি ত্বকের শুষ্কতা, চুলের রুক্ষতা, নখের ভঙ্গুরতা, ক্লান্তি, অস্বস্তি, অতিরিক্ত ওজন, পিএমস, বাতের ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, দেরিতে ক্ষত শুকানো, ত্বক ফাটা ও চুল পড়ার মতো সমস্যা দূর করে। তেলযুক্ত মাছ খেলে তা আমাদের পেশির উন্নতির পাশাপাশি অনেক রকম অসুখকেও দূরে রাখে।