ওজন ঝরাতে প্রথমেই বদলে ফেলতে হয় খাদ্যাভাস। এক্ষেত্রে অনেকেরই খাবারের তালিকায় শীর্ষে থাকে ওটস। প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরনের খনিজ উপাদানে ভরপুর ওটসে একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। তবে কাঁচা ওটস খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টিবিদদের মতে, ওটস কাঁচা খাওয়া যেতেই পারে। এতে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। কাঁচা ওটসে থাকা বিটা গ্লুকান নামে দ্রবণীয় ফাইবার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা ওটসে ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে, এই অ্যাসিড শরীরে বিভিন্ন রকম খনিজ শোষণে বাধা দেয়। তবে ওট্স পানিতে ভিজিয়ে খেলে এই অ্যাসিডের মাত্রাও কমে যায়। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিলে ওটসের মধ্যে উপস্থিত স্টার্চ জাতীয় পদার্থ ভেঙে যায় এবং প্রাকৃতিক ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। ফলে শরীরে ওটসের পুষ্টিগুণ বেশি পরিমাণে শোষিত হয়। রান্না করা ওটসের তুলনায় ভিজিয়ে রেখে ওটস খেলে তা হজম করতে সুবিধা হয়।
শর্করাযুক্ত সব খাবারেই ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’পাওয়া যায়। কিন্তু রান্না করা খাবারের পরিবর্তে ঠান্ডা স্টার্চযুক্ত খাবারে এটি ভরপুর মাত্রায় থাকে। ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’হল একটি প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে, ওজনও কমায়। ওট্স ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খেলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় রান্না করা ওটসের তুলনায় কাঁচা ওটস খেলেই ওজন ঝরবে দ্রুত।