বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন বিভাগীয় শহর খুলনাকে সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। দুই দিন আগে থেকে সড়কপথে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর গতকাল শুক্রবার থেকে নদীপথে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দিলে খুলনা মহানগর অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নগরের ভেতরেও যানবাহন খুব একটা চলেনি। লাঠিসোঁটা নিয়ে দিনভর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে রাস্তায় রাস্তায়। বিকেলে শিববাড়ী মোড়ে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ বড়সড় সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সব মিলিয়ে খুলনাজুড়ে উত্তেজনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এদিকে সড়ক ও জলপথে বাধার মুখেও গণসমাবেশের এক দিন আগেই আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী খুলনায় প্রবেশ করেছেন। কেউ হেঁটে, ট্রলারে চেপে, ট্রেনে চড়ে, অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে চেপে খুলনায় ঢুকেছেন। তাঁদের কেউ আত্মীয়স্বজনের বাসায়, কেউবা মেস ও হোটেলে উঠেছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে সমাবেশস্থল সোনালী ব্যাংক চত্বরে জড়ো হতে দেখা গেল। তখন মঞ্চ নির্মাণের সরঞ্জামবাহী ট্রাক সমাবেশস্থলে ঢুকছিল।
এর আগে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে বাধা এসেছিল। ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত হামলা ও বাধার ঘটনা ঘটে। ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের সমাবেশের দিন সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় বিভাগীয় সমাবেশ হচ্ছে আজ খুলনায়। এই সমাবেশের আগের দিন সড়ক ও জলপথে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সাধারণ মানুষকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।