বয়স ৫০ পার করার পর রাতে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা না ঘুমালে একাধিক দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে গবেষকরা বলছেন। তাঁরা বলছেন, খারাপ স্বাস্থ্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে খারাপ ঘুমও শরীরের জন্য একটি সতর্কতা বা ঝুঁকি হতে পারে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের বেসামরিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য এবং ঘুমের ওপর এ গবেষণাটি চালিয়েছে পিএলওএস মেডিসিন। এতে প্রায় ৮ হাজার অংশগ্রহণকারী সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হয়, 'আপনি সপ্তাহান্তের রাতে গড়ে কত ঘণ্টা ঘুমান?' এ জন্য কেউ কেউ একটি হাতঘড়ি স্লিপ ট্র্যাকারও পরেছিলেন।
এটা প্রমাণিত- ঘুম শরীর ও মনকে প্রফুল্ল এবং পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর দুই দশক ধরে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগসহ দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, পঞ্চাশোর্ধ্ব যেসব লোক দিনে সাত ঘণ্টা ঘুমায়, তাদের তুলনায় দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমানোদের একাধিক রোগের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি। ৫০ বছর বয়সের পর কম ঘুম প্রধানত দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকির ফলে মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।