দুর্গাপূজা হয়ে যাওয়ার পরে, অন্তত এক মাস উৎসবের রেশ থেকে যায়। এমনিতেই দুর্গাপূজার পরপরই লক্ষ্মীপূজা, তারপর কালী আরাধনা, সব মিলিয়ে এক মাস ধরে হিন্দু বাঙালির উৎসবের মেজাজ দেখার মতো। শুধু ঢাকঢোল বাজিয়ে পূজা উদযাপন নয়, নতুন জামা, জুতো কেনা থেকে এখানে সেখানে বেড়াতে যাওয়া, বাড়িতে স্পেশাল রান্নাবান্না, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, চুটিয়ে আড্ডা এসবের মধ্য দিয়েই এক-দেড় মাস উৎসবের আবহাওয়া এক্কেবারে জমজমাট।
চারপাশের পরিবেশটাও এ সময় কেমন বদলে যায়। বর্ষা গিয়ে মেঘমুক্ত ঝলমলে নীল আকাশ, কলকাতা ছাড়িয়ে একটু এদিক-সেদিক গেলেই কাশফুল, জলের মধ্যে অজস্র শাপলা, পদ্ম ফুটে থাকা দেখতে দেখতে বুঝতে পারি পূজা আসছে। ফলে পূজা মানেই কিন্তু নিছক আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মীয় আখ্যান নয়। পুরো বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক কিছু। এই আরও অনেক কিছু নিয়ে খোঁজখবর নিলে দেখতে পারবেন, কীভাবে বাজার অর্থনীতি থেকে আর্য-অনার্য দ্বন্দ্ব জড়িয়ে আছে দুর্গাপূজার সঙ্গে। আর এখন তো দুর্গা পুরোপুরি ব্র্যান্ড। তাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহল থেকে, করপোরেট পুঁজি, বিজ্ঞাপন, মিডিয়ার মাতামাতিতে স্পষ্ট, তিনি আজ আর কোনো নিছক ভক্তদের মা নন। নন সনাতনী দেবীও। তিনি হয়ে পড়েছেন বিরাট গুরুত্বপূর্ণ এক পণ্য।