বাঙালি গণহত্যা: আমেরিকার ভুল সংশোধনের সুযোগ

সমকাল হারুন হাবীব প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৬

একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা বিংশ শতাব্দীর বৃহৎ ও নৃশংস গণহত্যাগুলোর একটি। এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় অনুচরদের নির্বিচার নৃশংসতা ঘটেনি। বাঙালির ন্যায্য অধিকার হরণ করতে হানাদার বাহিনীর সেই বর্বরতম অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে এক কোটি ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল এবং সেখানেই সংগঠিত, প্রশিক্ষিত হয়েছিল মুক্তিবাহিনী। এসব কোনো কল্পকাহিনি নয়; বাঙালি জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা লাভের অমোচনীয় রক্তরঞ্জিত ইতিহাস। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, যা কিনা আন্তর্জাতিক আইনের মানদণ্ডে গণহত্যা বলে স্বীকৃত, তাকে জাতিসংঘ আজও স্বীকৃতি দেয়নি।


বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৭১ সালের ৯ মাসে যে বর্বর গণহত্যা ও নির্বিচার ধর্ষণ ঘটেছিল, সেটাকে বিশ্বমোড়লদের এ যাবৎ এড়িয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ দুটি। প্রথমত, মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছিল আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধকালে। যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড নিক্সন সরকার নিপীড়ক পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। যদিও আমেরিকাসহ পশ্চিমা দুনিয়ার মানবতাকামী মানুষ ও সংবাদমাধ্যম ওই গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। দ্বিতীয়ত, গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে কৌশলগত কারণে ওয়াশিংটন চিরায়ত বন্ধু পাকিস্তানকে বিব্রত করতে চায়নি।


হালে পরিস্থিতির কিছুটা হেরফের হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে গত বছর গণহত্যা সম্পর্কিত খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা 'লেমকিন ইনস্টিটিউট' প্রথমবারের মতো বাঙালি গণহত্যার বিচারের দাবি তুলেছে। জাতিসংঘকে এই গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছে। এর পর এগিয়ে এসেছে গণহত্যা অধ্যয়ন ও নিরোধে নন্দিত বিশ্ব প্রতিষ্ঠান 'জেনোসাইড ওয়াচ'।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us