সমাজে পুরাতন সংস্কার-বিশ্বাস এবং ধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। ভারতে, তুরস্কে, মিসরে এবং আরো কোনো কোনো রাষ্ট্রে ধর্মীয় শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সুবিধামতো রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম : ইসলাম’—দুটো কথাই এখন আছে।
বাংলাদেশে কিছু দুষ্কৃতকারী মাঝে মাঝে হিন্দু মন্দির ও হিন্দু বাড়ি লুটপাট করে। দুষ্কৃতকারী হিসেবেই এদের বিচার করা ও শাস্তি দেওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ সরকার এদের দুষ্কৃতকারী রূপে না দেখে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’ বলে অভিহিত করে। এদের বেলায় ‘সাম্প্রদায়িক’ কথাটার মানে কী? এদের কি সাম্প্রদায়িকতার জন্য মামলা-মোকদ্দমায় আসামি করা হয়? বিচার করে শাস্তি দেওয়া হয়? হিন্দু মন্দির ও হিন্দু বাড়ি লুট করার ঘটনা তো বছর দশেক ধরে ক্রমাগত বাড়ছে! বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি মুসলমানদের কিংবা মুসলমানদের প্রতি হিন্দুদের কি কোনো বিদ্বেষ আছে? বাংলাদেশে কি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে?