রপ্তানিকারকেরা এখন এএএ রেটিংপ্রাপ্ত এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির গ্যারান্টির বিপরীতে ব্যাংক থেকে চাহিদামতো অর্থায়ন নিতে পারবে। তাদের ক্ষেত্রে একক গ্রাহকের ঋণসীমা প্রযোজ্য হবে না। আগেও বিদেশি কয়েকটি ঋণদাতা সংস্থার গ্যারান্টির বিপরীতে ব্যাংক থেকে চাহিদামতো অর্থ নেওয়ার সুযোগ ছিল। এবার যুক্ত করা হয়েছে এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সি। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে ঋণ প্রদানের সীমা কোনোভাবেই ওই ব্যাংকের রক্ষিত মূলধনের ২৫ ভাগের বেশি হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে জারি করা নীতিমালায় বলা হয়, নন–ফান্ডেড ও ফান্ডেড ঋণ (সুদ ছাড়া) মিলিয়ে একটি গ্রুপ কোনোভাবেই ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ পাবে না। এ ক্ষেত্রে ফান্ডেড ঋণ হবে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ। তবে সব ধরনের নন–ফান্ডেড ঋণে ১০০ টাকার দায়কে ৫০ টাকা ও বিদ্যুৎ খাতের ১০০ টাকার দায়কে ২৫ টাকা হিসাবে গণনা করতে হবে। ফলে রপ্তানিমুখী খাতের ঋণের সীমা বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ ও বিদ্যুৎ খাতের সীমা বেড়ে হয়েছে ৫৫ শতাংশ। এতে রপ্তানিমুখী খাতের ঋণের সীমা আগের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়। আগে হিসাব হতো সুদসহ, এখন হিসাব হচ্ছে মূল ঋণ ও ঋণসুবিধা। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখীদের ঋণ নেওয়ার সুযোগ বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।