বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ যুক্তরাজ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ম্ফীতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিল্পোন্নত জার্মানিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে জ্বালানি সংকটে। রিজার্ভ সংকটে দেউলিয়া হওয়ার পথে ছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের মতো মজবুত অর্থনীতিও প্রবল ধাক্কা খেয়েছে মার্কিন ডলার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে।
তবে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসল সংকট এখনও শুরু হয়নি। ভয়াবহ একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের দ্বারপ্রান্তে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটি শুরু হতে পারে এবং আগামী বছরজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে। এবারের মন্দা ২০০৮ সালের তুলনায়, এমনকি কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ হতে পারে।
অবশ্য এ নিয়ে কিছুটা দ্বিমতও আছে। কেউ কেউ বলছেন, মন্দা শেষ পর্যন্ত নাও ঘটতে পারে। জাতিসংঘও বলছে, মন্দা অনিবার্য নয়। সঠিক পদক্ষেপ নিলে সংকট এড়ানো সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞরা প্রায় একমত, সম্ভাব্য এ মন্দায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপ। এশিয়া এবার তুলনামূলকভাবে কম ঝাঁকুনি খাবে। ২০০৮ সালের মন্দায় এশিয়া বেশি বিপর্যস্ত হলেও এবার এ অঞ্চলের দেশগুলো সংকট মোকাবিলায় অনেকাংশে প্রস্তুত।