ইরানে নিরাপত্তা হেফাজতে এক তরুণী নিহত হবার পর গড়ে ওঠা বিক্ষোভ সহিংস পন্থাতেই দমন করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মাহসা আমিনি, ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী আটক হয়েছিলেন হিজাব ঠিকমত পরিধান না করার অভিযোগে।
এরপর পুরো দেশে বিক্ষোভ হয়েছে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে এবারের বিক্ষোভে ১৫০ জনের বেশি মারা গেছে। কিন্তু বিক্ষোভ দমনে শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত আসলে দেশটিতে কে নেয়?
সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা কার হাতে?
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হলেন আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি। তার অধীনেই প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, বিচার বিভাগ, পার্লামেন্ট, গার্ডিয়ান কাউন্সিল ও সশস্ত্র বাহিনী।
আবার সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে আর্মি, পুলিশ ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড।
পুলিশের অধীনে আবার আছে নৈতিকতা পুলিশ।
আর ইসলামিক রিভলিউশিনারি গার্ডের অধীনে বাসিজ।
সর্বোচ্চ নেতার ক্ষমতা কতটা
দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হলেন আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি। ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা। তিনিই সরকার প্রধান ও কমান্ডার-ইন-চিফ। দেশটির ন্যাশনাল পুলিশ ও নৈতিকতা পুলিশের ওপর তার কর্তৃত্ব আছে। এই নৈতিকতা পুলিশের কর্মকর্তারা মাহসা আমিনিকে আটক করেছিল।
মি. খামেনি একই সাথে ইসলামিক রিভলিউশানির গার্ড কোর এবং এর স্বেচ্ছাসেবী শাখা, দি বাসিজ রেজিস্ট্যান্স ফোর্সকেও নিয়ন্ত্রণ করেন। আর ইসলামিক রিভলিউশানির গার্ড কোরের দায়িত্ব হলো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাসিজ বরাবরই ইরানে ভিন্নমত দমনে কাজ করেছে।
আর কিভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমন করা হবে সেটি বলার বেশি এখতিয়ার মি. খামেনির।