বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা ও আমাদের করণীয়

কালের কণ্ঠ ড. আতিউর রহমান প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১২:১৩

যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘে ১৮ দিনের সফর শেষে গত ৪ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরাবরই এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা উচ্চারণ করেছেন।


তিনি জানিয়েছেন, জাতিসংঘে অনেক রাষ্ট্রনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। তাঁরা প্রায় সবাই তাঁকে আভাস দিয়েছেন যে সারা বিশ্বের জন্যই আগামী বছরটি মহামন্দার ঝুঁকি বহন করছে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন যে ‘বিশ্বব্যাপী একটি আশঙ্কা, ২০২৩ সালটি একটি মহাসংকটের বছর হবে। ’ কী হতে পারে এর ফলে? তিনি জানিয়েছেন, বছরটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রকট হতে পারে। সে জন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। সেই প্রস্তুতি কী হতে পারে, সে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষিই যে বিপদের দিনে আমাদের রক্ষাকবচ। তাই যার যার যে জায়গা আছে, চাষ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সংকট মোকাবেলায় কৃষি খাতের জন্য আলাদা করে বাজেটের কথাও বলেছেন।


খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্টের। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি নানা সংকট তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন এবং এর প্রতিকারের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের মনে আছে, ১৯৯৮ সালের মহাবন্যার সময় তিনি সম্মুখসারির একজন যোদ্ধার মতো বিপর্যস্ত মানুষকে পর্যাপ্ত খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণের ব্যবস্থাই শুধু করেননি, বন্যা-পরবর্তী কৃষির পুনর্বাসনের জন্য কৃষিঋণসহ সব উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এমনকি বর্গাচাষিরাও যাতে কৃষিঋণ পান সে জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে হাটবাজারে ব্যাংকিং বুথ খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নাগরিক সমাজের অনেকের আশঙ্কা ছিল যে ওই বন্যার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ যাবে। কিন্তু সুদক্ষ ত্রাণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে বন্যার অভিঘাতে তৈরি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় যেন একজন মানুষেরও প্রাণ না যায়। একই সঙ্গে পুরো সমাজকে তিনি দায়বদ্ধ করতে পেরেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us