ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক ‘মিরাকল’ থেকে শিক্ষণীয়

আজকের পত্রিকা ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৬

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত ‘দ্য স্টোরি অব ভিয়েতনামস ইকোনমিক মিরাকল’ শীর্ষক নিবন্ধটিকে ফোকাস করে কিছু আলোচনা-বিশ্লেষণ এই কলামে তুলে ধরছি। ভিয়েতনাম প্রকৃত প্রস্তাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে ১৯৭৫ সালে, বাংলাদেশের চার বছর পর। তিন দশকের চরম-বিধ্বংসী স্বাধীনতাযুদ্ধের কারণে ওই সময় ভিয়েতনাম বাংলাদেশের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হিসেবে বিবেচিত হতো। বিশ্বের জনগণের কাছে ভিয়েতনাম হলো সবচেয়ে বেশি রক্ত-ঝরানো স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয়ী দেশ। সমাজতন্ত্রী ভিয়েতনাম বিশ্বের একমাত্র দেশ, যে দেশটি বিশ্বের দু-দুটো সুপার পাওয়ার ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করে নিজেদের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে, ফ্রান্স পরাজয় বরণ করেছে ১৯৫৪ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৫ সালে।


বাংলাদেশকেও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের জীবন এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করতে হয়েছে। বিজয় অর্জনের পর বাংলাদেশ রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ হিসেবে, যেখানে রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতি ছিল জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। এই দুটো দেশের জনগণের মুক্তিযুদ্ধকে ইতিহাস চিরদিন পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।


১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল, তখন ‘জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’—সুকান্তের এই অবিস্মরণীয় কবিতার লাইনটি আক্ষরিকভাবে প্রযোজ্য ছিল ভিয়েতনামের বীর জনগণের ক্ষেত্রে। যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য স্বাধীন ভিয়েতনামকে মার্কিনরা অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে পঙ্গু রাখারও ব্যবস্থা করেছে দুই দশক। এতদ্সত্ত্বেও ভিয়েতনাম কখনোই কোনো দেশের কাছে মাথা নত করেনি, ভিক্ষার জন্য হাত পাতেনি।


এমনকি অনুদান ও ‘সফট লোনের’ আশায় জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হতেও আবেদন করেনি। অথচ, কী দারুণ কষ্টকর ছিল ১৯৭৫-পরবর্তী বছরগুলোতে ভিয়েতনামের জনগণের জীবন! ভিয়েতনামের জনগণের মাথাপিছু আয় ১৯৭৪ সালে ছিল মাত্র ৬৫ ডলার, ১৯৮৫ সালে ছিল ২৮৫ ডলার। ২০২১ সালে আইএমএফের প্রাক্কলন মোতাবেক ভিয়েতনামের মাথাপিছু নমিনাল আয় ৩ হাজার ৩৫৬ ডলারে পৌঁছে গেছে, যেটাকে ‘মিরাকল’ আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) ভিত্তিতে ভিয়েতনামের মাথাপিছু আয় ২০১৭ সালে ছিল ৬ হাজার ৭৭৫ পিপিপি ডলার, আর ২০২১ সালে তা পৌঁছে গেছে ৮ হাজার ৫৯ পিপিপি ডলারে। ভিয়েতনামের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল, এক দশক ধরে তা ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে। ২০২১ সালে ভিয়েতনামের মাত্র ৫ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে বলে প্রাক্কলিত হয়েছে। ২০২২ সালে ভিয়েতনামের মানব উন্নয়ন সূচক শূন্য দশমিক ৬৯, যেখানে বাংলাদেশের সূচক এখনো শূন্য দশমিক ৬২। মানব উন্নয়ন সূচকের বিশ্বের র‍্যাঙ্কিংয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান ১১৫ নম্বরে, বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us