ভিন্নমতের প্রেতাত্মারা রাশিয়ায় ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছে। মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গসহ রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বিরোধিতায় ক্ষুদ্র ও বড় আকারের বিক্ষোভও হয়েছে। হাজার হাজার তরুণ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তিন লাখ সৈন্য সংগ্রহ করতে চেয়েছেন। এর বিরোধিতা করায় দুই হাজারেরও বেশি রাশিয়ার নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
এটা এখনই বলা ঠিক হবে না বা বলার সময়ও হয়নি যে, বর্তমান অস্থিরতা পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। তবে তিনি যদি আসলেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে এটি ইউক্রেনের নাগরিক এবং বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া কোটি কোটি মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হবে। সবচেয়ে বেশি সুফলভোগী হবে রাশিয়ার সাধারণ জনগণ, যাদের জীবন ও সম্ভাবনা পুতিনের দুর্নীতিপরায়ণ ও কর্তৃত্ববাদী শাসনে খর্ব হচ্ছে।