রিকশার শহরে নানা উপদ্রব

আজকের পত্রিকা মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৫১

ঢাকা শহরটাকে এখন রিকশার শহর বলাই ভালো। পরিবহনের এই প্রাচীন যন্ত্রটির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং বাড়তে বাড়তে এমন একটি অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে যে অনেক রিকশাতেই যাত্রী দেখা যায় না। তার মানে যাত্রীর সংখ্যার চেয়ে রিকশার সংখ্যাই বেড়ে গেছে! জেলা শহরগুলোতে যেমন ব্যাটারিচালিত বাইকের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে, সেখানেও যাত্রীর চেয়ে বাইক বেশি।


কয়েক মাস আগে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও এমন বেড়ে গিয়েছিল যে তা শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণকে জটিল করে তুলেছিল। আসলে বাঙালি যখন যেখানে কাঁচা পয়সা দেখে, সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। কৃষিতে কাজ করা শ্রমিকেরা সে কাজটি ফেলে রেখে ঢাকা শহরে রিকশা চালাতে চলে এসেছেন। কারণ, এখানে কাঁচা নগদ টাকা আছে এবং সেই সঙ্গে উপার্জনও অনেক বেশি।


আমি যখন ঢাকা শহরে আসি, তখন রিকশা ভাড়া দুই আনা, চার আনাও ছিল। এখন ন্যূনতম রিকশা ভাড়া কুড়ি টাকায় পৌঁছেছে। রিকশাওয়ালাদের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে তাঁরা রাজপথকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় তাঁরা যন্ত্রচালিত গাড়ির চালকদের নির্দেশ করে থাকেন। কখনো কখনো রিকশাওয়ালাদের দানবের মতো মনে হয়। অযৌক্তিক ভাড়া চেয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বচসা থেকে হাতাহাতি, মারামারি এগুলোও নিয়মিত ঘটে। পৃথিবীর কোনো রাজপথে একসঙ্গে এত ধরনের যানবাহন চলতে দেখা যায় না আর রাজধানী বা বড় শহরগুলোতে তো নয়ই। বাস, ট্রাক, কনটেইনার, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা—সবকিছু চলছে। যানজটে স্থবির হয়ে পড়ছে অসহায় ট্রাফিক পুলিশ, সামলাতে পারছে না অথবা সামলানোর চেষ্টাও করছে না। সাধারণ মানুষ এগুলোতে প্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর তাগিদও শিথিল হয়ে পড়ছে। সব জায়গায় একই জবাব, যানজটে দেরি হয়ে গেল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us