মন ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকে। দীর্ঘমেয়াদে অবসাদ, ক্লান্তি ও একঘেয়ে জীবন চাপ সৃষ্টি করে মনের ওপর। আবার পারিপার্শিক অবস্থার কারণেও অনেক সময় মানসিক চাপ তৈরি হয়। এই চাপ দীর্ঘসময় বয়ে বেড়ালে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।
মানসিক চাপ থেকেই রক্তচাপে হেরফের দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে হৃদরোগের কারণও মানসিক চাপ। তাই সুস্থ থাকার জন্য মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা গুরত্বপূর্ণ। জটিল কিছু মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হলেও ছোটখাটো কিছু মানসিক চাপ নিজেরাই কিছু কৌশল অবলম্বন করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বাস প্রশ্বাসের কিছু বিশেষ কৌশল হতে পারে এই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের সব থেকে সহজ উপায়।
সাধারণ সিমেট্রিক্যাল বেলি ব্রিদিং
এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রথমে খুব আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসুন বা সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এক হাত আপনার বুকে এবং অপর হাতটি পাঁজরের নিচে পেটে স্থাপন করুন। নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন। লক্ষ্য করুন পেটের ওপর রাখা আপনার হাতটি বাইরের দিকে সরে যাচ্ছে বা শায়িত অবস্থায় উপরের দিকে উঠছে এবং বুকের ওপর রাখা হাতটি স্থানচ্যুত হয়নি।
এ সময় পাঁচ পর্যন্ত গণনা করুন। এবার মুখ ঠোঁট গোল করে শ্বাস ছাড়ুন এবং মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গণনা করুন। কল্পনা করুন যেন ফুঁ দিয়ে আপনি একটি মোমবাতি নেভাচ্ছেন। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি প্রায় ১২ থেকে ১৩ বার বা দুই মিনিট ধরে পুনরাবৃত্তি করুন। প্রক্রিয়াটি শেষে শরীর ও মনে যে তাৎক্ষণিক ইতিবাচক পরিবর্তনটি হলো সেটি আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন।
সাধারণ স্কিউ বেলি ব্রিদিং
এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রথমে খুব আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসুন বা সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এক হাত আপনার বুকে এবং অপর হাতটি পাঁজরের নিচে পেটে স্থাপন করুন। নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন। মনে মনে চার পর্যন্ত গণনা করুন। লক্ষ্য করুন পেটের ওপর রাখা আপনার হাতটি বাইরের দিকে সরে যাচ্ছে বা শায়িত অবস্থায় উপরের দিকে উঠছে এবং বুকের ওপর রাখা হাতটি স্থানচ্যুত হয়নি।
এবার মনে মনে ছয় পর্যন্ত গণনা করুন এবং মুখ থেকে ঠোঁট গোল করে শ্বাস ছাড়ুন। প্রায় ১২ বার বা দুই মিনিট ধরে এটির পুনরাবৃত্তি করুন। প্রক্রিয়াটি শেষে আপনার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন গুলো লক্ষ্য করুন।