হাঁস থেকে লাভ লাখ টাকা

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:১৩

বছর ত্রিশেক আগের কথা বলছি। সে সময় গ্রামের বাড়িতে যাঁদের পুকুর ছিল, তাঁরা চার-পাঁচটা করে হাঁস লালনপালন করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিল ও হাওর এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে হাঁস লালনপালন শুরু হয়। কৃষক পর্যায়ে হাঁস লালনপালনের বিকাশ দেখে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ডাক ভ্যালু চেইন নিয়ে কাজ শুরু করে। আমি গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জ এলাকার হাঁস পালন নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন তৈরি করেছি। দেখেছি হাঁস সেসব অঞ্চলের অনেক বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।


বছর পাঁচেক আগেও চলনবিল এলাকায় হাঁস চাষের প্রসার নিয়ে কাজ করেছি। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খুটিগাছা গ্রামের কথাই বলি। ছোট্ট একটা গ্রাম। চলনবিলের এসব এলাকায় শুকনো মৌসুমে যে রূপ দেখা যায়, বর্ষায় ঠিক তার উল্টো। বিলের পানিতে চারপাশ হয়ে ওঠে ডুবুডুবু। সেও এক মনোহর প্রাকৃতিক রূপ। গ্রামের চারপাশ ঘুরে দেখি সেখানে ধান ও মাছের পাশাপাশি আরেক অর্থকরী খাত হচ্ছে হাঁস। গ্রামের তরুণেরা তো বটেই, গৃহিণীরাও যুক্ত হয়েছেন হাঁস পালনে। শুধু খুটিগাছা নয়, চলনবিলের আশপাশের অন্য সব গ্রামের অর্থনৈতিক চিত্রও পাল্টে দিয়েছে হাঁস।


কথা হয়েছিল খুটিগাছার জাহানারা খাতুনের সঙ্গে। তিনি দিনমজুর স্বামীর বউ হয়ে এসেছিলেন এই গ্রামে। স্বামীর কোনো কৃষিজমি নেই। পরের জমিতে কাজ করে যে আয়, তাতে সংসার চালানো কঠিন ছিল। কোনো দিন দুই বেলা, কোনো দিন এক বেলা, আবার কোনো দিন চেয়েচিন্তে খেয়ে না-খেয়েও দিন পার করেছেন। স্বামীর পাশাপাশি কিছু একটা করে সংসারের আয় বাড়ানোর চিন্তা ছিল তাঁর সব সময়। কিন্তু কী করবেন, নেই লেখাপড়া, গ্রামে নেই বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনো উপায়। একদিন গ্রামের আবদুল আলিমের হাঁসের খামার দেখে মনে হলো তিনিও তো হাঁস পালতে পারেন। পাঁচ-ছয়টা হাঁসের বাচ্চা দিয়ে শুরু করলেও খুব কম সময়ে হাঁসের সংখ্যা হাজারে পৌঁছায়। চার বছরে পাল্টে গেছে তাঁর আর্থসামাজিক অবস্থা। কৃষিজমি কিনেছেন ১০ কাঠা। বড় ছেলেটা স্কুলে যায়। হিসাব করে দেখালেন মাসে আয় থাকে ১৫ হাজার টাকার বেশি। গ্রামের একজন নারী ঘরে বসেই পাল্টে নিয়েছেন নিজেকে। পাল্টে দিয়েছেন সমাজ ও পরিবারকে। তিনি এখন পরিবারের একমাত্র ভরসার জায়গা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us