ভারতবর্ষের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। সেই কংগ্রেস দলটাই বেশ কিছুদিন ধরে কেমন নির্জীব হয়ে পড়েছিল। এই দলের সাংগঠনিক শক্তি ক্রমেই ক্ষয় পাচ্ছে। যেখানেই ভোট হচ্ছে, সেখানেই কংগ্রেসের শতকরা ভোটের পরিমাণ কমছে।
কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিচ্ছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। এমনকি খোদ বিজেপিও সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। এনফোর্সমেন্ট ও সিবিআই গান্ধী পরিবারকে এখন আর ছাড়ছে না। ন্যাশনাল হেরাল্ডের তহবিল এবং অন্য কিছু বিষয় নিয়ে গান্ধী পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে এনফোর্সমেন্ট ও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেছে।
এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কংগ্রেস দলের সভাপতি আর হবেন না। যদি রাহুল গান্ধী শেষ পর্যন্ত আর সভাপতি না হন, তাহলে এই প্রথম গান্ধী পরিবারের একজন সদস্য স্বেচ্ছায় নেতৃত্বের চেয়ার পেয়েও সেটা না নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন।
মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা। তাঁর বয়স ৮০ বছরের ওপর। তিনি গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত অনুগত দলিত নেতা। তিনি দক্ষিণ ভারতের একজন নেতা। এই মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেস দলের সভাপতি পদে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে লড়ছেন শশী থারুর। মল্লিকার্জুন খাড়গে অবশ্য গান্ধী পরিবারের প্রথম চয়েস ছিল না।
প্রথম ঠিক হয়েছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে কংগ্রেস দলের সভাপতি করা হবে। অশোক গহলৌত প্রাথমিকভাবে রাজি হলেও তিনি সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদটা ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তাঁর প্রস্তাব ছিল, কিছুদিনের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সভাপতি—এই দুটি পদেরই দায়িত্বভার সামলাবেন। কিছুদিন পর অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।