দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। সারা দেশ থেকে এখানে রোগী আসে চিকিৎসা নিতে। ভালো চিকিৎসার জন্য সুনাম থাকায় হাসপাতালটির বারান্দা, মেঝে ও সিঁড়িতে রাত কাটিয়ে হলেও সেবা নিতে চান রোগীরা। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে সবসময় হিমশিম খেতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা প্রত্যাশা করেন দেশসেরা এই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা পাবেন। তবে দালালদের উৎপাত আর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। তাদের অভিযোগ, বর্তমানে অনেক শারীরিক পরীক্ষাই বাইরে থেকে করে আনতে হয়। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। থাকলেও নানা অজুহাতে করতে চায় না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঢামেক হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার বহু সরঞ্জাম প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এগুলো সারিয়ে কার্যকর করার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। এছাড়া অন্তত ২০ শতাংশ রোগের পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে। এই সুযোগে হাসপাতালের ভেতরে গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক-কর্মীদের শক্তিশালী চক্র। হাসপাতালের কিছু কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীর যোগসাজশে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট, যারা নানা অজুহাতে পকেট কাটছেন রোগীদের।
বিজ্ঞাপন