৪৫ থেকে ৫০ বছর পার হওয়ার পর মানুষের শরীরে হাড়ের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। হাড় ক্ষয় ও ফুলকো হওয়ার মতো সমস্যাগুলোও দেখা দেয়। মারাত্মক হাড়ক্ষয়ে হাঁচি বা কাশি দিলেও তা ভেঙে যেতে পারে।
পুরুষ বা নারীদের দেহের হাড় সাধারণত ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত ঘনত্বে বাড়ে; ৩৪ বছর পর্যন্ত তা বজায় থাকে। এরপর থেকে হাড়ক্ষয় হতে থাকে।
যাদের হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি তাদের হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত কমতে থাকে। নারীদের মাসিক-পরবর্তী সময়ে হাড়ক্ষয়ের গতি বেগবান হয়। এছাড়া অনেক কারণ বা স্বাস্থ্য ঝুঁকি হাড়ক্ষয়ের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।
হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি
অসংশোধনযোগ্য ঝুঁকি
* বয়োবৃদ্ধি
* স্ত্রী লিঙ্গ
* জিনগত ত্র“টি
* অপারেশনের কারণে ডিম্বাশয় না থাকা
* হায়পোগোনাডিজম (পুরুষ ও মহিলার)
* অতি খর্বাকৃতি
সংশোধনযোগ্য ঝুঁকি
* ভিটামিন ডি’র ঘাটতি
* ধূমপান
* অপুষ্টি (ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, কে ইত্যাদি)
* ক্ষীণকায় দৈহিক আকার
* আমিষনির্ভর খাদ্যাভ্যাস
* বেশি বয়সে অতিরিক্ত চা, কফি, চকোলেট গ্রহণের অভ্যাস।
* খাদ্যে বা বাতাসে ভারী ধাতু
* কোমল পানীয় ও মদ্যপান
মেডিকেল ঝুঁকি
* দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা