আম, লিচু, তরমুজসহ প্রধান দেশীয় ফলের মৌসুম শেষ, বাজারে বিদেশি ফল থাকলেও তার স্বাদ নিতে গুনতে হচ্ছে চড়া দাম।
এ অবস্থায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অনেকেই ফল খাওয়া ছেড়েছেন, আর কিনলেও কমিয়েছেন পরিমাণ।
খাদ্য তালিকায় ফল খাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ থাকলেও নিত্যপণ্য কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে বহু মানুষ। অনেকেই জানাচ্ছেন, ফল কেনা এখন যেন তাদের কাছে বিলাসিতার নামান্তর।
সরকার ডলার বাঁচাতে ফুল, ফল, প্রসাধনী ও আসবাব পণ্য আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করেছিল গত মে মাসে। বিদেশি ফলের বাজার তখন থেকেই চড়া। তবে তখন আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজের মওসুম থাকায় ধাক্কাটা অত বেশি গায়ে লাগেনি ক্রেতাদের।
দেশি ফলের মৌসুম শেষে এখন আপেল, কমলা, আঙুর কিনতে গিয়ে দাম বৃদ্ধির আঁচটা টের পাওয়া যাচ্ছে বেশ। ততে বিক্রিও কমে গেছে বলে ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
মগবাজারের বাসিন্দা ওমর ফারুক একটি করপোরেট কোম্পানির বিক্রয়কর্মী। তিনি জানালেন, গত কয়েক মাস ধরে তিনি ফল কিনছেন না।
“আগে অন্যান্য বাজার সদাইয়ের পাশাপাশি কিছু দেশি-বিদেশি ফল কেনা হত। বাসায় স্কুল পড়ুয়া দুটো বাচ্চা আছে, ওরা ফল খেতে পছন্দ করে। ওদের জন্য হলেও নিয়ম করে কিছু ফল কিনতাম, কিন্তু এখন তো চাল-ডাল, মাছ-ডিম কেনাই কঠিন হয়ে গেছে। এত দাম দিয়ে আর ফল কেনা সম্ভব না।”