১৫ বছর বয়সে জাহানারার বিয়ে হয় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থেকে বগুড়া শহরে এসে থিতু হওয়া আবুল কাশেমের সঙ্গে। কখনো কারখানার শ্রমিক, কখনো দিনমজুরি, আবার কখনো ভ্যান চালিয়ে জীবিকা চালাতেন তিনি। সংসারে কিছুটা অভাব–অনটন থাকলেও সুখ ছিল। তবে সেটা আর থাকল না। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বছর দেড়েক আগে মারা যান কাশেম। রেখে যান ১১ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে। মেয়েকে নিয়ে খেয়ে–পরে বেঁচে থাকতে জাহানারা স্বামীর রেখে যাওয়া ভ্যানগাড়ি নিয়ে পথে নামেন।
তবে নারী চালক হওয়ায় জাহানারার ভ্যানে যাত্রী মিলত না। শেষে ভ্যান ঠেলে শহর ঘুরে ফুটপাতে ফেলনা কাগজ, পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, ভাঙা ইট, পুরোনো লোহা কুড়ানোর পেশা বেছে নেন। কুড়িয়ে পাওয়া ফেলনা বাড়িতে নিয়ে পরিষ্কার করার পর তা বিক্রি করেন ভাঙারির দোকানে। দিন শেষে জোটে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এ দিয়ে চলে মা–মেয়ের সংসার।
বিজ্ঞাপন