কোরিয়া উপদ্বীপে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উত্তর কোরিয়া ফের দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত বিরতিতে ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্যান্য আধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা করে আসছে, যা নিয়ে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সব সময়ই উদ্বেগ প্রকাশ করে। আর সেই উদ্বেগকে উত্তেজনার স্তরের নিয়ে যাওয়ার কাজটি করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এবারও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরপরই একই কাজ করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতিমধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে দেশটির উসকানিতে যে অস্থিরতা চলছে তার মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের দক্ষিণ কোরিয়া সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ তাইওয়ানে কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে বেশ চাপেই পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনকে চাপে রাখার রাজনীতি করতে গিয়ে ওই অঞ্চলের কয়েকটি দেশে অযাচিতভাবেই হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নানা চুক্তিও করেছে দেশটি। সেই সব চুক্তির আলোকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়নের সফর হিসেবে গতকাল এমন এক পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস দক্ষিণ কোরিয়া গেলেন যখন উত্তর কোরিয়া নতুন করে নানা ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে এমন আশঙ্কাও আছে। বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছে কোরিয়া উপদ্বীপে বিষয়টি ঠিক একই রকম না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে কোনো ফারাক নেই।