ইউরোপের বর্তমান পরিস্থিতি জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ওপর প্রভাব বিস্তারকারী আঞ্চলিক নিরাপত্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি শুধু কার্বন নিরপেক্ষতা উচ্চাকাক্সক্ষার জন্যই ক্ষতিকর নয়, মহাদেশব্যাপী জীবিকা বা কর্মসংস্থানের ওপরও এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব বর্তমান। একটি যুদ্ধের পটভূমিতে ইউরোপের নিরাপত্তা সংকট চরমে পৌঁছেছে যেমনটা ঠা-া লড়াই পরবর্তী সময়ে আর কখনো ঘটেনি। অধিকাংশ ইউরোপীয়ই ইউক্রেনের ঘটনাটিকে এমন একটি ইউরোপীয় সংকট বলে মনে করছেন, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ইউরোপীয় প্রশাসনের ওপর। রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে পোল্যান্ডও চিন্তিত। কারণ এই দুই দেশের মধ্যে একটি সাধারণ সীমান্ত বর্তমান এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে উদ্বাস্তুদের স্রোত নেমেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইনের শাসনের প্রাধান্য এবং গণতান্ত্রিক কার্যকারিতার পথে বাধাদানকারী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোল্যান্ড এবং ব্রাসেলসের মধ্যে তীব্র মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বোপরি, পোল্যান্ড ও বেলারুশ সীমান্তে উদ্বাস্তু সংকট ইইউর জন্যই একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিলে অঞ্চলটিতে যে অর্থনৈতিক দুর্দশার সৃষ্টি হবে তার ভয়ে বাল্টিক দেশগুলো চুপ করে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য দেশ বড় পরিসরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইউরোপীয় কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ভেটো প্রদানের ক্ষমতা তুলে নেওয়া হয়। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের দেশ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারও করে।