লোডশেডিংয়ের ঝামেলায় ফ্রিজে রাখা খাবার হয়ত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা জাগে।
তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফ্রিজে রাখা খাবার অনেকক্ষণ ভালো রাখা যায়।
যতক্ষণ সম্ভব ফ্রিজের দরজা না খোলা
বিদুৎ চলে গেলে ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেইটরের দরজা যত কম খোলা হবে ততই মঙ্গল।
‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’র তথ্যানুসারে ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিদুৎ চলে গেলে দরজা না খোলা হলে রেফ্রিজারেইটরের ভেতরটা ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ঠাণ্ডা থাকে।
তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ব্যবহার
ইউএসডিএ’র সূত্রানুসারে, রেফ্রিজারেইটরের ভেতরের তাপমাত্রা ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ফ্রিজারের ভেতরের তাপমাত্রা শূন্যের নিচে থাকতে হবে।
অনেক আধুনিক ফ্রিজে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র থাকে। আর না থাকলে একটা থার্মোমিটার ফ্রিজারের ভেতর রাখা উচিত। যাতে তাপমাত্রা বোঝা যায়। এক্ষেত্রে জ্বর মাপার নয়, ফ্রিজে ব্যবহারের জন্য তৈরি থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত বরফ রাখা
ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের সঠিক তাপমাত্রা বেশিক্ষণ বজায় রাখতে আলাদা করে বরফ রাখা একটা ভালো পন্থা। এক্ষেত্রে বোতলে রাখা পানিও বরফ অবস্থায় রাখা যেতে পারে।
একই রকম খাবার একসঙ্গে রাখা
‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেইশন (এফডিএ)’ পরামর্শ দেয়, বিছিন্নভাবে না রেখে, বরফ করা একই রকম খাবার পাশাপাশি বা ‘গ্রুপ’ করে রাখলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফ্রিজারের ভেতরটা বেশিক্ষণ ঠাণ্ডা থাকে।