ভারতের গর্ভপাত আইনে সংশোধনী এনেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, এখন থেকে বিবাহিত নারীদের পাশপাশি অবিবাহিত নারীরাও করতে পারবেন গর্ভপাত।
এছাড়া ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ বা স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকেও অপরাধের তালিকাভুক্ত করছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সময়সীমা অবশ্য কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রচলিত আইনের সময়সীমাকেই বহাল রাখা হয়েছে; অর্থাৎ গর্ভপাত করতে হলে সর্বোচ্চ ২৪ সপ্তাহের মধ্যে। এই সময়সীমার পর করা হলে আইনত তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
গর্ভপাত ইস্যুতে ভারতে সামাজিকভাবে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও দেশটিতে এ ব্যাপারটি বহুল চর্চিত। ভারতের সমাজ-সংস্কৃতিতে কন্যা সন্তানের চেয়ে পুত্র সন্তান বেশি কাঙ্খিত, ফলে পারিবারিক ও সামাজিক কারণে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক নারী গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন।
১৯৭১ সালে প্রথম গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করা হয় ভারতে। পরে ২০২১ সালে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গর্ভপাত আইনে সংশোধনও আনে কেন্দ্রীয় সরকার।