প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শিখন-ঘাটতি নিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠছে। ব্যাপারটি গুরুতর ও আতঙ্কজনক। কারণ, আগের ক্লাসের শিখন-ঘাটতির কারণে তারা নতুন শ্রেণির পাঠ ঠিকমতো বুঝতে পারছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা না বুঝে গলাধঃকরণ করছে এবং পরীক্ষার খাতায় তা উগরে দিয়ে আসছে।
প্রশ্ন ও মূল্যায়নপদ্ধতির গতানুগতিক ধারায় ত্রুটি থাকায় শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা টের পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ প্রশ্ন ও মূল্যায়নের প্রধান কাজ ছিল শিক্ষার্থীদের শিখন-ঘাটতি শনাক্ত করা। শিখন-ঘাটতি বা পাঠ-দুর্বলতা শনাক্ত করা সম্ভব হলে সে অনুযায়ী প্রতিকারমূলকব্যবস্থা নেওয়াও সহজ ছিল।
কিন্তু আমাদের শিক্ষাপদ্ধতিতে পরীক্ষার সঙ্গে ফলাফলের সংযোগটাই মুখ্য হয়ে রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের আশায় নোট মুখস্থের প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। অভিভাবকেরাও মনে করছেন, ভালো শিক্ষকের লিখে দেওয়া উত্তর মুখস্থ করতে পারলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।