জনশ্রুতিমতে, সাম্প্রতিক মিয়ানমার জান্তা সরকারের কুৎসিত সামরিক গোলযোগের ইঙ্গিত-সীমান্তের অভ্যন্তরে গোলা এসে পড়ার ঘটনা দেশীয় বিভীষণ ও বৈশ্বিক শত্রুর নিকৃষ্ট সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় প্রণীত। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত মর্টার শেল বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্তে এসে পড়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় স্থলমাইন স্থাপনসহ একের পর এক আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বেপরোয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশি নাগরিকদেরও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান আন্তর্জাতিক রীতিবিরুদ্ধ হলেও মিয়ানমার তার তোয়াক্কা করছে না। বিদ্রোহী আরাকান ও কোচিন আর্মিসহ শান-কারেন-মং-কায়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে চলমান কথিত সংঘাতের অজুহাতে মিয়ানমার সরকার বারবার বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে নির্লজ্জ উসকানি দিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞ গবেষক-বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলার অপচেষ্টা এবং চাপ সৃষ্টি করে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন রুদ্ধ-বাকি রোহিঙ্গাদেরও বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারায় মিয়ানমার হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান দিয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর উসকানিমূলকভাবে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে।