ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখ সারির দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, বজ্রপাত ও খরাসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হয় এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের দেশটিকে। এসব বিষয়ে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও দিন দিন বজ্রপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বাড়ছে। অন্যদিকে, সাধারণ জনগণ সচেতন না হওয়ায় প্রতি বছরই প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বজ্রপাতের মতো ঘটনা বাড়ছে। জলবায়ুর ভয়ংকর পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে জল টর্নেডোর ঘটনাও ঘটেছে। যা অস্থির বায়ুমণ্ডলের ইঙ্গিত দেয়। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, সেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখ সারিতে রয়েছে দেশটি। এজন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেদের জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ব বায়ুমণ্ডলকে শান্ত রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বজ্রপাতে গত ১০ বছরের মৃত্যু ২৭৮৫
গেল এক দশকের মধ্যে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ২০১৬ সালে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে কিছুটা কমলেও বাকি বছরগুলোতে তিনশোর ওপরে ছিল মৃত্যুর সংখ্যা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০১১ সালে ১৭৯ জন মারা গেছেন। ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫, ২০১৪ সালে ১৭০, ২০১৫ সালে ২২৬, ২০১৬ সালে ৩৯১, ২০১৭ সালে ৩০৭, ২০১৮ সালে ৩৫৯, ২০১৯ সালে ১৯৮, ২০২০ সালে ২৫৫ এবং ২০২১ সালে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের। গত ১০ বছরে দেশে শুধু বজ্রপাতেই মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭৮৫ জনের।