বছরের শুরু থেকেই বিপাকে আছেন ক্রিপ্টো মুদ্রার মাইনাররা; বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুদ্রা ইথার ‘মার্জ’ প্রক্রিয়ার কারণে তুলনামূলক স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরলেও নিম্নমুখী বাজারে স্বস্তি মিলছে না বিটকয়েনের।
২০২১ সালের পুরোটাই ছিল ক্রিপ্টো মুদ্রার বছর। বাজারে নতুন কয়েন বেচে ব্যাপক হারে কামাই করেছেন মাইনাররা। কিন্তু ২০২২ সালে এসে তাদের আগের বছরের অর্ধেক লাভও উঠছে না।
ব্লকচেইন ডটকমের ডেটার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এ বছরে বিদ্যুৎ ও শক্তি উৎপাদন খাতে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব আর ‘ক্রিপ্টো উইন্টার’-এর দৃশ্যপটে বিশ্ববাজারে বিটকয়েন মাইনারদের দৈনিক আয় নেমে এসেছে এক কোটি ৭২ লাখ ডলারে; যা গত বছরের নভেম্বর মাসের তুলনায় ৭২ শতাংশ কম।
গত বছরের নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড করেছিল বিটকয়েন; ওই সময়ে বিশ্ববাজার থেকে প্রতিদিন ছয় কোটি ২০ লাখ ডলার করে কামাচ্ছিলেন মাইনাররা।
ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ব্লকওয়্যার সলুশনসের প্রধান ডেটা বিশ্লেষক জো বার্নেট রয়টার্সকে বলেন, “আয়ের হার ক্রমাগত কমতে দেখছেন মাইনাররা- বিটকয়েনের দাম কমছে, মাইনিং প্রক্রিয়ায় জটিলতা বেড়েছে এবং বিদ্যুতের খরচও আকাশচুম্বী হয়েছে।”