আড়াই বছরের লকডাউন, কোয়ারেন্টিন এবং মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কিন্তু মহামারি–পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনের এ নতুন উপলব্ধি নানাভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। কোভিড-১৯ মহামারিকে হারিয়ে দেওয়াটাকে আমাদের বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীল যুগের সমাপ্তিচিহ্ন হিসেবে দেখা যাবে না, বরং সেটিকে সেই যুগের সূচনাপর্বের উপসংহার হিসেবে দেখতে হবে।
অবশ্যই এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আগের দুই বছরে মোট যত মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিল, ২০২২ সালে তার চেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে এবং ভ্যাকসিন মৃত্যুর হার কমিয়ে আনলেও এই বছর বিশ্বব্যাপী ১০ লাখের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যেহেতু সরকারগুলো হালনাগাদ করা টিকার বুস্টার শট দেওয়ার কার্যক্রম গোটাচ্ছে, সেহেতু বিশ্বকে অবশ্যই একটি বড় পতনের ঢেউ ও করোনাভাইরাসের বিপজ্জনক নতুন ধরনের সম্ভাব্য উত্থানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।