বড়সড় প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সঙ্গে সুকৌশলে প্রতারণা করে থাকে, এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টও আছে। সম্প্রতি টুইটারের সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান পিটার ‘মাজ’ জ্যাটকো বলেছেন, ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রতিটি টুইটের পাশে ডিলিট বাটন দেখে খুশি হলে চলবে না। ব্যবহারকারী ডিলিট বাটন চাপলেই সে তথ্য টুইটার মুছবে—এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং সেটা শুধু ফিড ও প্রফাইল থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
সার্ভারের নানা ডাটাবেইসে রয়ে যাবে ঠিকই। আর সে তথ্যগুলো কবে নাগাদ মোছা হবে তারও নেই কোনো নিশ্চয়তা, এমনকি কখনো সার্ভার বা ব্যাকআপ থেকে বাদ দেওয়া হবে কি না, সেটাও পরিষ্কার নয়। তিনি জানান, এর মূলে রয়েছে ডিলিট করা পোস্টের তথ্যগুলো কোন ডাটাবেইসে কিভাবে রাখা হয়েছে, সেটি জানা যায় না। ফলে সেগুলো ‘হারানো’ তথ্য হিসেবে সার্ভারে ভেসে বেড়ায়।
পিটার জ্যাটকো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্যদের দেওয়া এক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। অবশ্য টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁর সব বক্তব্যকেই মিথ্যা, বানোয়াট এবং টুইটারের সম্মানহানির চেষ্টা হিসেবেই উল্লেখ করেছে।
ব্যবহারকারীদের তথ্যের মালিকানা আসলে কার হাতে—এ নিয়ে ছোটখাটো বিতর্ক থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলাও গড়িয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষার অধিকার নিয়ে গবেষণা করছেন সান্ড্রা ম্যাটজ। তাঁর দাবি, ইন্টারনেটে একবার কোনো কিছু আপলোড বা পোস্ট করা হয়ে গেলে সেটা পুরোপুরি মুছে ফেলার উপায় একেবারেই নেই।