ইংরেজি ঝশরৎসরংয শব্দটি ব্যবহারে আমরা বুঝতে পারি, দুটি বাহিনীর মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ- যা সাময়িকভাবে ঘটে থাকে এবং একটা সময় থেমে যায় অথবা সেটি পরে পরিণত হয় বড় আকারের যুদ্ধে, যাকে ইংরেজিতে বলে ওয়ার। আবার দুটি দেশের মধ্যে টেনশন বলতে বুঝি, কোনো যুদ্ধ শুরু হয়নি। কিন্তু একটা ঝগড়া-বিবাদ চলছে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে, সেটি যে কোনো সময় সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যা হচ্ছে, সেটি বোঝাতে এ দুটি শব্দের কোনোটিই এখন পর্যন্ত প্রযোজ্য নয়।
এটা আমার ব্যক্তিগত মত। তবে মিয়ানমার থেকে ছুটে আসা গোলার আঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে একজন নিহত হয়েছেন এবং ৫ জন আহত হয়েছেন, থেকে থেকে কয়েকদিনে অন্তত প্রায় দুই ডজন (পত্রপত্রিকা ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী) শেল বাংলাদেশের ভূখ-ে পড়েছে, সীমান্তের ঠিক ওপারেই গুলি-শেলের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে দিনরাতব্যাপী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে অন্তত চারবার ডেকে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে এবং প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নেইপিদোতেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিমকে ডেকে সীমান্তে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা ও আরাকান আর্মি নামে বিদ্রোহী গ্রুপকে দায়ী করে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক নষ্ট করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। মিয়ানমার এ কথাও জানিয়েছে, এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাংলাদেশের সীমান্তের অভ্যন্তরে তৎপর। এতকিছুর পরও বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে- এমন কথা বলা যাবে না।