৮ সেপ্টেম্বর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে যুক্তরাজ্যের রাজা হন চার্লস তৃতীয়। ১৯৫২ সালে যুবরাজ হিসেবে রাজ্যাভিষেক হয় তার। ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা ঘোষণা করা হয় তাকে। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনসহ আরও ১৪টি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাজা হলেন তিনি। ৪০তম রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসের এক নতুন যুগের সূচনা হলো। লিখেছেন নাসরিন শওকত
যুক্তরাজ্যের গ্রেট ব্রিটেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও কমনওয়েলথভুক্ত আরও ১৪টি রাষ্ট্রের রাজা চার্লস তৃতীয়। ৮ সেপ্টেম্বর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হয়। এরপরই রাজকীয় ঐতিহ্য অনুসারে, ৭৩ বছর বয়সী ওয়েলসের যুবরাজ চার্লস সিংহাসনে বসেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের আনুষ্ঠানিক অভিষেক সম্পন্ন হয়।
শৈশবের শিক্ষানবিশকাল পার করে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের আধুনিকীকরণকে মূর্ত করে তুলেছিলেন চার্লস। তিনিই প্রথম সিংহাসনের উত্তরাধিকারী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পরের কয়েক বছর তাকে সামরিক বাহিনীর পোশাক পরে কাটাতে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার তীব্র ঝলকানির মধ্যে বেড়ে ওঠা প্রথম যুবরাজ তিনি। ১৯৮১ সালে তিনি লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুটি ছেলে যুবরাজ উইলিয়াম ও যুবরাজ হ্যারি রয়েছে। পরে যুবরাজ চার্লস ও যুবরানী ডায়ানা উভয়েই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৬ সালে ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাদের। ২০০৫ সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানার মৃত্যু হয়। পরে চার্লস তার দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী ক্যামিলা পার্কার বোলসকে বিয়ে করেছিলেন।