অল্প টাকায় গাড়ি কিনে সেই গাড়ি ভাড়ায় খাঁটিয়ে মাসে ৭০ হাজার টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখাতেন তিনি। কম বিনিয়োগে বেশি টাকা আয়ের লোভে পরে অনেকেই নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করেন সেখানে। প্রথম দুই-এক মাস প্রতিশ্রুত লাভের টাকা দিয়ে আস্থা অর্জন করলেও পরে আর টাকা দিতেন না। বিনিয়োগ করা অন্তত ৩০০ মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছেন জাকির চেয়ারম্যান নামে এক প্রতারক। জাকির কুমিল্লার মেঘনা থানার ২ নম্বর মাইনকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। জাকিরের প্রতারণার তালিকায় রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের নানা স্তরের কর্মকর্তা, বাদ যাননি সংসদ সদস্যরাও। এই প্রতারককে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে তাক লাগানো এসব তথ্য।
ঢাকা টেক সেন্টারে নিজের একমাত্র উপার্জনের অবলম্বন দোকান ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা গাড়ি কেনার জন্য বিনিয়োগ করেন মুন্সিগঞ্জের ভুক্তভোগী মো. সায়েম। চেয়ারম্যান জাকিরের সঙ্গে তার চুক্তি হয় মাসে ৭০ হাজার টাকা পাবেন। এক মাস পেয়েওছিলেন, কিন্তু তারপর থেকেই মাসিক ভাড়ার টাকা আর পাননি। এরপর ঘুরে ঘুরে কিস্তি তো দূরের কথা, আসল টাকা কিংবা গাড়ি কোনোটাই ফেরত পাননি সায়েম।
সায়েম বলেন, ‘সাড়ে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কেনার পরে তার কাছে থেকে আমি এক মাসের ভাড়া পাইছি। এরপর এক বছর ভাড়া দেয় নাই। টাকার জন্য চাপ দিলে সাড়ে ৭ লাখ টাকার একটা চেক ধরিয়ে দেয় আমাকে। বাকি টাকা চাইলে মামলার হুমকি দেয়।’
একই গাড়ি প্রতারক জাকির ২৫ জন ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছেন উল্লেখ করে আরেক ভুক্তভোগী সোহেল মোল্লা বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ও কয়েকজন সংসদ সদস্যও এই জাকির চেয়ারম্যানের ক্লায়েন্ট। এসব হোমরাচোমরা মানুষ দেখেই আমরা সাধারণ মানুষ আস্থা নিয়ে তার সঙ্গে রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় যুক্ত হয়েছিলাম।’