চীন আগামী অক্টোবরে ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ওই কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নজিরবিহীনভাবে তৃতীয় মেয়াদের জন্য দায়িত্বভার দেয়া হবে। সংগতকারণে অনেক পর্যবেক্ষকই সামনের অনিশ্চিত দিনগুলো, বিশেষ করে তাইওয়ান নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ দেখার জন্য কারো কোনো স্বচ্ছ গোলকের প্রয়োজন পড়ে না। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে সেটি বোঝা যায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নিজেদের দিক থেকে চীনের নেতারা রাশিয়ার দিকে এখন তাকিয়ে আছেন।
চীন গত ১০০ বছরের বেশির ভাগ সময়ই রাশিয়ার ঐতিহাসিক গতিপথ অনুসরণ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে হুবহু অনুকরণও করেছে। বিশ শতকের গোড়াতে উভয় রাষ্ট্রই ছিল বৃহৎ সাম্রাজ্য। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল মান্ধাতা আমলের, যা সাম্রাজ্য দুটির জনগণকে বৈদেশিক আক্রমণ, দুর্নীতি, অসমতা এবং দারিদ্র্য থেকে রক্ষা করতে পারেনি। যদিও ১৯০০ সালে রাশিয়ার মাথাপিছু আয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল, তবে চীনের মাথাপিছু আয় ছিল রাশিয়ার অর্ধেক।
১৯৪৯ সালে নতুন প্রজাতন্ত্রটিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সোভিয়েত ব্যবস্থার আদলে গড়ে তোলা হয়েছিল। চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয় রাষ্ট্রেই একটি নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি (কমান্ড ইকোনমি) বাজারকে প্রতিস্থাপন করেছিল। একই সঙ্গে কী উৎপাদন করবে, কী খাবে, মানুষ কোথায় কাজ করবে, কোথায় থাকবে, কী বলবে, পড়বে এবং লিখবে—তাও নিয়ন্ত্রণ করেছিল রাষ্ট্র। এককথায় বলতে গেলে জনগণের জীবনের প্রতিটি দিকই প্রভাবিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।