শুধু প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশসংক্রান্ত উচ্চতর বিজ্ঞানে নয়, কৃষিবিজ্ঞানের খুবই প্রাথমিক এলাকা হচ্ছে বীজ ও কৃষকের বীজ ব্যবস্থা। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনগুলোয় তাই এ কথা প্রায়ই স্বীকার করা হয় যে, কৃষকই জানেন উন্নত মানের খাদ্য একমাত্র ভালো বীজ থেকেই আসে। আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকেও স্বীকার করতে হয় যে, খাদ্য সার্বভৌমত্ব অর্জনের জন্য কৃষকের বীজ ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি, পাশাপাশি কৃষকের অধিকার তো অবশ্যই। (দেখুন, ফারমার সিড সিস্টেমস: আ ক্রিটিক্যাল কন্ট্রিবিউশন টু ফুড সভিরেনটি অ্যান্ড ফারমার্স রাইট)।
ফসলের চাষাবাদ বা ফসলকে গার্হস্থ্যবিদ্যার অন্তর্গত করার ইতিহাস অনেক পুরনো, কমপক্ষে ১০ হাজার বছর আগে থেকে এর শুরু। কৃষকের বীজ ব্যবস্থার ইতিহাসও তেমনি অতি প্রাচীন। বাংলাদেশে তিন নদীর মোহনা ও বদ্বীপে যখন থেকে আবাদ শুরু হয়েছে সেই অতীত কাল থেকে কৃষক বীজ আবিষ্কার করতে শুরু করেছেন, নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। সেই বীজের ব্যবস্থাপনার জন্য কৃষকের কার্যকর বীজ ব্যবস্থাপনার বিদ্যা ও চর্চাও গড়ে উঠেছে।