‘পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ও আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি জাতীয় রাজনীতি থেকে নির্বাসিত এবং আদালতের দণ্ড এড়াতে বর্তমানে বিদেশে পলাতকের জীবনযাপন করছেন।’
রেজুল্যুশনে আরও বলা হয়, ‘সেনাবাহিনী ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয় পাকিস্তানের প্রেক্ষাপট ও জাতীয় রাজনীতিকে অত্যন্ত স্পর্ষকাতর বিষয়। সেখানে এই বাহিনীর শীর্ষপদে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে সে সম্পর্কে একজন পলাতক অপরাধীর সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কেবল সংবিধানের ৬ নম্বর ধারা (আর্টিক্যাল ৬) লঙ্ঘণই করেননি, বরং একজন পলাতক অপরাধীর পরামর্শ করার মাধ্যমে তিনি দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীরও অপমান করেছেন।’
আগামী নভেম্বরের পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কোন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে— তা নিয়ে বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনা করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের বৃহত্তম বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কিত মন্ত্রী বাশারাত রাজা আইনসভার সোমবারের অধিবেশনে একটি রেজুল্যুশন উত্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কোন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে— প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার বড়ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সে সম্পর্কে আলোচনা ও শলা-পরামর্শ করেছেন। দুই দিন আগে লন্ডনে নওয়াজ-শেহবাজের এই আলোচনা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’