বিজেপির হিন্দুত্ববাদ ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা

সমকাল প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪২

সাহিত্যিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর এক প্রবন্ধে লিখেছেন- 'ধর্ম সাধারণ মানুষের কালচার, কালচার সাধারণ মানুষের ধর্ম।' মোতাহের হোসেন চৌধুরীর এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ধর্ম মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে, আচার-আচরণের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে জড়িয়ে আছে। ধর্মে মানুষের বিশ্বাস ঠুনকো কোনো বিষয় নয়। অনেক সময় ব্যক্তি মানুষ ধর্মের কারণে জীবন দিতে পারেন।


ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে মানুষকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী ও অজ্ঞেয়বাদী। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কোনো না কোনো ধর্মে বিশ্বাসী। এ কারণে ধর্মানুভূতিতে আঘাত করলে চরম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সভ্যতার ইতিহাসে ধর্মকেন্দ্রিক সংঘাত বিশাল জায়গা নিয়ে আছে। ইউরোপে দীর্ঘকাল ধরে ধর্মযুদ্ধ হয়েছে। ক্রুসেডে খ্রিষ্টান ও মুসলমান বহু বছর ধরে পরস্পর প্রাণ সংহার করেছে। ধর্মকে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয় হিসেবে দেখা ইহজাগতিকতাবাদের উৎপত্তি হয়েছিল ইউরোপে। ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্টদের মধ্যে দীর্ঘকাল চলতে থাকা সংঘাত থেকে জনজীবন রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ম করা হলো- চার্চ ও রাষ্ট্র পৃথক থাকবে। রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে চার্চকে এড়িয়ে চলতে হবে। এ সত্ত্বেও চার্চের প্রভাবহীন রাষ্ট্র এখনও পাশ্চাত্যে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এ কারণে দেখা যায় ব্রিটেনের রাজা বা রানী 'চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান'। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বাইবেলে হাত রেখে শপথ নিতে হয়। সে দেশের মুদ্রায় লেখা থাকে- 'ইন গড উই ট্রাস্ট'। রোমান ক্যাথলিক চার্চ নিঃসন্দেহে অতীত দিনের মতো পরাক্রমশালী নন। তা সত্ত্বেও ভ্যাটিকান ও পোপের মর্যাদা বলে দেয়, পোপ খ্রিষ্টজগৎ ও বিশ্বপরিসরে প্রভাবশালী। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পোপ এখনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পোপের কিউবা সফর কিউবাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us