ভোরের শিউলি, শিশির, কাশফুল আর পাড়া বেড়ানি সাদা মেঘের আনাগোনা বলে দিচ্ছে পূজা আসছে। উৎসবপ্রিয় সবার মনের মাঝে তাই বাজতে শুরু করেছে ঢাকের টাক ডুমা ডুম বোল। সেই খুশিতে নেচে উঠছে বাড়ির ছোট-বড় সবার মন। চাই তার নতুন জামা, শাড়ি, চুড়ি, গয়নাসহ আরও কত-কী! হ্যাঁ, পোশাকের পরে গয়না তো চাই-ই চাই। গয়না না হলে যে উৎসবই জমবে না! তো কেমন গয়না চাই? সোনা রুপা হিরে জহরত কুন্দন মণি-মাণিক্য? না, এত দামি গয়না আজকাল পরার সুযোগ কই। মায়ে-ঝিয়ে-বউরা আজকাল আর এই সবের আবদারেও যান না। সোনা নয়, তবে সোনা রঙের গয়না হলেই সই। এবারের পূজার সাজ তাই হতে পারে গোল্ড প্লেটের গয়নায়।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গয়নায় এসেছে নানা পরিবর্তন। দেশীয় কিংবা পশ্চিমা যেকোনো পোশাকেই অনুষঙ্গ হিসেবে রুপা কিংবা কাঁসা, পিতল বা মেটালের তৈরি বাহারি নকশার গয়নায় গোল্ড প্লেট বা সোনার মতো রং ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব গয়না যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনি তার বাহারও নজরকাড়া। তা সে হালকা গয়নাই হোক কিংবা জড়োয়া বা ভারী গয়না।
বিয়ের সাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে এসব গয়না তাই সবার পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে। এসব গয়না যেমন দামেও সস্তা, তেমনি চাইলেই নিত্যনতুন নকশায় গড়িয়ে নেওয়া যায়—জানালেন ইস্টার্ন মল্লিকার এমআরপি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ। এ ছাড়া এসব গয়নায় কখনো মূল রংটাই থাকছে আবার কখনো এতে দেওয়া হচ্ছে গোল্ড, কপার অথবা অ্যান্টিক কালার। নকশায় বৈচিত্র্য আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাথর। যেমন আর্টিফিশিয়াল স্টোন, মুক্তা, পুঁতি, টারকোয়িজ, ব্লাডস্টোন, কোরাল, মালাকাইটসহ কাচ ও প্লাস্টিকের তৈরি রংবেরঙের পাথর। এমনকি এসব গয়নার নকশায় মিনা করাও থাকে। দেখতে একদম যেকোনো দামি গয়নার মতো। এসব গয়নার নকশায় যেমন পাওয়া যাবে সাবেকিয়ানা, তেমনি এই সময়ের নান্দনিক নকশাও।