বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে বড় অবদান রেখেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে তিনিই সর্বোচ্চ গোলাদাতা। তবে এর চেয়েও বড় স্বীকৃতিটা আদায় করে নিয়েছেন সাবিনা। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও। টুর্নামেন্টে সেরা গোলকিপার বাংলাদেশের রুপনা চাকমা। ৫ ম্যাচে যাঁর বিপক্ষে গোল হয়েছে মাত্র একটি।
কয়েক বছর আগেও জাতীয় দলে সাবিনা ছিলেন নিঃসঙ্গ। একাই লড়তে হতো। কারণ, সতীর্থরা ছিলেন ছোট। জাতীয় দলে খেলার মতো অভিজ্ঞতা ছিল না মারিয়া মান্দাদের। তখনো যেমন দলকে টেনে নিয়েছেন সাবিনা খাতুন, আজও তিনি নেতৃত্ব দিলের সামনে থেকে। আজ ফাইনালে গোল পাননি সাবিনা, তবে গোল করিয়েছেন। কোনো না কোনোভাবে দলে জয়ে অবদান থাকেই সাবিনার।
ফাইনালের আগপর্যন্ত করেছেন ৮ গোল। যার মধ্যে দুটি হ্যাটট্রিক। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ে সাবিনার দুই গোল। পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের ৬-০ গোলে জয়ে সাবিনার তিন গোল। ভারতের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ে সাবিনা গোল পাননি। সেদিন দুই গোল করেন স্বপ্না। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ভুটানকে। সাবিনা হ্যাটট্রিক করেন সেদিনও।
দল হিসেবে এবার বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। তার মধ্যেই সাবিনা ছিলেন আলাদা। ঢাকা ছাড়ার আগে বলেছিলেন, শিরোপা নিয়ে ফিরতে পারলে নিজেকে সুখী ভাববেন। আজ সত্যিই নিজেকে সুখী ভাবার দিন সাবিনার। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মেয়েরা হিমালয় জয় করে ফিরছেন দেশে।