ওয়াক্স করার পদ্ধতি সঠিক না হলে ত্বকে দেখা দিতে পারে ছোট ছোট ক্ষত বা সংক্রমণ।
শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে ওয়াক্সিং একটা পদ্ধতি। তবে এই কাজ সারতে সবসময় পার্লারে যাওয়া হয় না। তাই ঘরে নিজের হাতে ওয়াক্সিং করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নইলে দেখা দেবে সমস্যা।
আর সেসব নিয়েই টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন ভারতের ওয়াক্সিং পণ্য তৈরি প্রতিষ্ঠানের ‘বায়োসফট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা রায়িদ মার্চেন্ট।
ত্বক প্রস্তুত না করা
ওয়াক্স করার আগে ত্বককে ভালো মতো প্রস্তুত করে নিতে হবে। ময়লা, ঘাম বা নোংরা দূর করতে ত্বক ভালো ভাবে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে। তারপর শুকনা তোয়ালে দিয়ে ত্বক ভালো মত শুকিয়ে নিতে হবে। ওয়াক্সের আগে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা রক্ষাকারী ক্রিম বা জেল ব্যবহার করে নেওয়া যেতে পারে।
এরপর ত্বকে ভালো মতো ট্যাল্কম পাউডার ছিটিয়ে নিয়ে তার ওপরে ওয়াক্স ব্যবহার করতে হবে, এতে ভালোভাবে ত্বকের লোম উঠে আসবে।
বাড়তি ওয়াক্স ব্যবহার
ওয়াক্সিংয়ের সময়ে ত্বকের সর্বত্রই সামান্য পরিমাণ ওয়াক্সের প্রয়োজন হয়। খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হলে ত্বক থেকে অসমভাবে লোম উঠে আসে এবং ত্বকে এর অবশিষ্টাংশ রয়ে যায়।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হল ত্বকের সর্বত্র পাতলা করে ওয়াক্স ব্যবহার করা এবং এর ওপরে ওয়াক্সিংয়ের স্ট্রিপ ব্যবহার করা। প্রয়োজনে স্ট্রিপটা সামান্য গরম করে নিলে দ্রুত ওঠানো সম্ভব হয়।
তরল ওয়াক্সের সঠিক তাপমাত্রা
তরল ওয়াক্সের তাপমাত্রা সঠিক থাকলে তা সহজে লোম তুলতে সহায়তা করে।
তরল ওয়াক্স খুব ঠাণ্ডা হলে তা ত্বকের ওপরে জমাট বাঁধা অবস্থায় রয়ে যায়। আবার খুব বেশি গরম হলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই এর তাপমাত্রা সঠিক ও সহনীয় হওয়া উচিত।
ব্যবহারের আগে গরম তরল ওয়াক্স পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে হালকা গরম হলে অনেকটা ক্যারামেলের আকারে নিয়ে এসে ব্যবহার করতে হবে।