এবার করোনার টিকাদানে সারা দেশে চার দিনের বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাঁরা এখনো টিকা পাননি, তাঁদের জন্য এ কর্মসূচি। ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে টিকাদান। এ সময় করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটি বলেছে, মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে হবে, তিন ডোজ টিকা নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, বদ্ধস্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভায় মাস্ক পরতে হবে এবং বেসরকারি কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার ব্যয় কমাতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। গত শনিবার সভা শেষে কমিটি এসব সুপারিশ করে।
গতকাল রোববার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত সারা দেশে ৪ হাজার ১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ মানুষ নমুনা পরীক্ষা করালে ১২ জনের শরীরেই করোনা শনাক্ত হচ্ছে। সংক্রমণের বিবেচনায় এ হার অনেক বেশি।
দেড় থেকে দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার পাঁচের নিচে থাকার পর বছরের এ সময় কেন আবার সংক্রমণ বাড়ছে, এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না জনস্বাস্থ্যবিদদের কাছ থেকে।